1. numanashulianews@gmail.com : kazi sarmin islam : kazi sarmin islam
  2. islamkazisarmin@gmail.com : newstv : Md newstv
  3. admin@newstvbangla.com : newstvbangla : Md Didar
কখনো মানবাধিকারকর্মী, কখনো ডিবি— অবশেষে শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার - NEWSTVBANGLA
রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ঢাকায় রাতে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে জুলাই বিপ্লব নতুনভাবে দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে দেশের ইতিহাস লেখা যাবে না : চসিক মেয়র ‘হঠাৎ বিকট শব্দ, দৌড়ে গিয়ে দেখি বাড়ির ভেতরে আগুন আর কান্নাকাটি’ পরিবেশ দূষণমুক্ত চাইলে দূষণকারী শিল্পকারখানা বন্ধ করার আহ্বান না ফেরার দেশে নয়া দিগন্তের সাবেক সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন মাহিন সরকারের বিরুদ্ধে ৭.৫ কোটি টাকার ভুয়া গল্প, আসলেই কি ঘটেছে বেলকুচিতে রাতের মধ্যে যেসব এলাকায় ঝড় হতে পারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা হত্যা মামায় জাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ললিপপ জনি কেরানীগঞ্জে এসি বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৪ জন হাসপাতালে

কখনো মানবাধিকারকর্মী, কখনো ডিবি— অবশেষে শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার

প্রতিনিধি

কখনো তিনি মানবাধিকারকর্মী, কখনো ইমিগ্রেশন অফিসার, আবার কখনো ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা—নানান ছদ্মবেশ ধারণ করে মানুষের আস্থা অর্জন করে প্রতারণা করাই ছিল যার পেশা। শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপনে থাকা সেই প্রতারক কামাল হোসেন ওরফে ইমন (৩৭) শেষমেশ ধরা পড়েছে পুলিশের জালে।

প্রতারণার শিকার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার আশরাফুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় গত সোমবার (৪ আগস্ট) রাতে নাটোরের নলডাঙ্গা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানায়, মো. আশরাফুল ইসলাম তার বাবা-মা এবং খালাকে নিয়ে পবিত্র উমরাহ পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় অনলাইনে কামাল হোসেনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। কামাল নিজেকে ইমিগ্রেশন অফিসার পরিচয় দিয়ে দাবি করেন, তার একটি হজ এজেন্সি রয়েছে। এরপর আশরাফুল ইসলাম উমরাহ যাওয়ার ব্যাপারে তার সঙ্গে চুক্তি করেন। তখনই শুরু হয় প্রতারণার ছক। উমরাহর জন্য ভিসা, টিকিট, হোটেল বুকিংসহ অন্যান্য খরচ বাবদ অগ্রিম ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন। তারপর থেকে কামালের ফোন বন্ধ, ঠিকানা ভুয়া। এক পর্যায়ে বুঝতে পারেন সবটাই ছিল সাজানো ফাঁদ, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

ঘটনার পর গত ৫ ফেব্রুয়ারি পীরগঞ্জ থানায় আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণ ও ব্যাংক লেনদেন খতিয়ে দেখে প্রতারণার মূল হোতা কামাল হোসেন।

পরে পীরগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল নাটোরের নলডাঙ্গা থানার ঠাকুর লক্ষ্মীকুল গ্রামে অভিযান চালিয়ে কামালকে গ্রেপ্তার করে। ওই গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।

পুলিশ জানায়, কামাল কেবল এককভাবে প্রতারক নন। বরং একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সক্রিয় সদস্য। উমরাহর মতো ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়কে পুঁজি করে তিনি প্রতারণা করে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। কখনো মানবাধিকার, কখনো ইমিগ্রেশন, আবার কখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে মানুষের বিশ্বাস আদায় করাই ছিল তার প্রধান কৌশল।

পীরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে। পাশাপাশি তার সঙ্গে জড়িত এ চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবেও বলে জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2015
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট