আফগান সেনারা পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে পাকিস্তানে

আফগানিস্তানের সশস্ত্রগোষ্ঠী তালেবানের হাতে সীমান্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারানোর পরই পালিয়ে গিয়ে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে দেশটির সরকারি বাহিনীর ৪৬ জন সেনা। পাকিস্তান সেনাবাহিনী সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ সামরিক জোট ন্যাটোর সেনারা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যেতে শুরুর করায় তালেবানের হামলা ও দাপট বাড়তে থাকার পর সীমান্ত লাগোয়া প্রতিবেশী তাজিকিস্তান, পাকিস্তান ও ইরান সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে শত শত আফগান সেনা।
আফগানিস্তানের সামরিক কমান্ডার উত্তরে চিত্রাল সীমান্তের পারাপারে আশ্রয়ের আবেদন করেছিল জানিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, আফগান কর্তৃপক্ষের অনুরোধের পর রোববার রাতে আফগান সেনাদের নিরাপদে ঢোকার পথ করে দেওয়া হয়।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দেওয়া সোমবারের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সামরিক বাহিনীর প্রতিষ্ঠিত নিয়ম অনুযায়ী আফগান সেনাদের
পর্যাপ্ত খাবার, তাদের থাকার ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে আমাদের পক্ষ থেকে।’
পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্কের অচলাবস্থার মধ্যে এমন খবর আসলো। চলতি মাসের শুরুতে ইসলামাবাদে আফগানিস্তানের রাষ্টদূতের মেয়ে অপহৃত হয়। এরপর ইতোমধ্যে আফগানিস্তান পাকিস্তান থেকে তাদের সব কূটনীতিককে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে।
তালেবানের দাপটে আফগান সেনারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নিচ্ছে, এমন খবরের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আফগানিস্তানের সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও এ নিয়ে কর্মকর্তাদের সাড়া কিংবা মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য আফগান সরকারী বাহিনীর সঙ্গে তালেবান বিদ্রোহীদের লড়াই চলছেই। দেশটির অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণও এখন তালেবানের হাতে। বিশ বছরের মিশন শেষে সব আন্তর্জাতিক সেনা আফগানিস্তান ছাড়ায় তালেবানের শক্তি ও দাপট আরও বেড়েছে।
সেনা প্রত্যাহার অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। বিদেশি সেনা প্রত্যাহার শুরুর পর থেকেই হামলা বাড়িয়েছে তালেবান। সেই হামলা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র যে বিমান হামলা শুরু করেছে, তা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন।